নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নরসিংদীর মনোহরদীর পশ্চিম বীরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশু আউলিয়া আক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার মূল আসামী মোঃ সজল মিয়া (২০)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ সদস্যরা। রবিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত সজল মিয়া নরসিংদীর মনোহরদীর পশ্চিম বীরগাঁও এলাকার বাসিন্দা আঃ মান্নানের ছেলে। সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীর র্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সিনিঃ এএসপি) শেখ বিল্লাল হোসেনের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি র্যাব জানায়, গত ২৬ জুন নরসিংদীর মনোহরদীর কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বীরগাঁও গ্রামের ৫ম শ্রেণী পড়–য়া ১২ বছরের এক মেধাবী স্কুলছাত্রী আউলিয়া আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়। সে দক্ষিণ চরমান্দালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত ছাত্রী ছিল। ওই ছাত্রীকে দৃ®কৃতিকারী হত্যা করে তাদের বাড়ির পাশে বাতা ক্ষেতের ভেতর লাশ গোপন করে রাখে। এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা মোঃ বাবু মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মনোহরদী থানায় মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
র্যাব আরও জানায়, অভিযুক্ত সজল মিয়া ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। এরপর সে লেখাপড়া বাদ দিয়ে কৃষিকাজ শুরু করে। ওই মেধাবী স্কুলছাত্রী বিভিন্ন সময় টেলিভিশন দেখার জন্য তার পাড়া প্রতিবেশী চাচা মোঃ সজল মিয়ার বাড়িতে যেত। ঘটনার দিন ২৬ জুন তারিখে আনুমানিক ৪ ঘটিকার সময় ওই ছাত্রী সজল মিয়ার বাড়ির পাশ দিয়ে তার নানা মোঃ রাজু মিয়ার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হয়। সজল মিয়া জানালা দিয়ে ওই ছাত্রীকে যেতে দেখে তার পিছু নেয় এবং বাড়ির অদুরে জনৈক শামসুদ্দিনের বাতা ক্ষেতের ভেতরে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওই ছাত্রী বাধা দিলে ও চিৎকারের চেষ্টা করলে সে তাকে গলা টিপে হত্যা করে তার লাশ বাতা ক্ষেতের ভেতর লুকিয়ে রেখে চলে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সজল মিয়া এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে র্যাব জানায়।#